ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৫৪ ধারা অনুসারে ধর্তব্য অপরাধের খবর থানায় অফিসার ইনচার্জের নিকট এলে মামলা রুজু করতে হয়। অপরাধের সংবাদ পুলিশ নিজেও সংগ্রহ করতে পারে। অভিযোগকারী কর্তৃক দরখাস্তের ভিত্তিতে থানায় মামলা রুজু করা হয়। ফৌজদারী মামলা রুজুর পর থানার অফিসার ইনচার্জ নিজে অথবা সাবইন্সপেক্টরের মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারেন। কোন ফৌজদারী ধর্তব্য অপরাধের ক্ষেত্রে সরাসরি থানায় কিংবা সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগ করা যায়। থানায় রুজুকৃত মামলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেরা গোয়েন্দা শাখার মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারেন।

রুজুকৃত মামলার প্রক্রিয়াঃ
০১। প্রাথমিক তথ্য বিবরনী
(ক) বিষয় ও বিচার্য বিষয় (তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) কর্তৃক এজাহার বিশ্লেষণ পূর্বক)
(খ) প্রাসঙ্গিক বিষয় (আইও কর্তৃক এজাহার বিশ্লেষণ পূর্বক)
০২। কেস ডায়েরি
০৩। জব্দকৃত আলামত প্রতিবেদন
০৪। ভিকটিমের জবানবনন্দি (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক)
০৫। সাক্ষীর বিবৃতি
(ক) ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায়
(খ) ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়
০৬। আসামী গ্রেফতার ও প্রেরণ
০৭। ভিকটিমের জবানবনন্দি
০৮। আসামীর জবানবন্দি
(ক) পুলিশ কর্তৃক রেকর্ডকৃত
(খ) ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায়
০৯। পিসিপিআরসহ আসামীর নাম-ঠিকানা যাচাই প্রতিবেদন
১০। মেডিকেল প্রতিবেদন
(ক) মেডিকেল সনদ
(খ) সুরতহাল প্রতিবেদন
(গ) ময়না তদন্ত প্রতিবেদন
(ঘ) ভিসেরা প্রতিবেদন
(ঙ) ডিএনএ প্রতিবেদন
(চ) বিশেষজ্ঞের মতামত
১১। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন
১২। হস্তরেখা বিশারদের প্রতিবেদন
১৩। আঙ্গুলাংক বিশারদের প্রতিবেদন
১৪। সংগৃহীত ছবির লগ বহি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৫। মোবাইল ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা
১৬। তদন্ত তদারকি প্রতিবেদন
১৭। স্কেচ ম্যাপ ও সুচিপত্র
১৮। পূর্ববর্তী তদন্তের ফলাফল (প্রয়োজনে)
১৯। আদালতের আদেশ নামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
২০। নারাজি প্রতিবেদন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
২১। তদন্ত প্রতিবেদন (অভিযোগপত্র/চূড়ান্ত রিপোর্ট)
২২। মামলার ফলাফল বাদীকে অবহিতকরণ

থানায় মামলা রুজু হবার পর তদন্তকারী কর্মকর্তার করণীয়ঃ

০১। এজাহার পাঠ করা এবং ক্ষেত্র বিশেষ ভিসিএনবি পর্যালোচনা করা
০২। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করা, সুরতহাল ও জব্দ তালিকা প্রস্তুত করা
০৩। খমড়া মানচিত্র ও সূচী অংকন করা
০৪। নিয়মিত কেস ডায়েরী (সিড়ি) খেলা
০৫। সোর্স নিয়োগ করা
০৬। ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারা মোতাবেক সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা
০৭। আসামীর নাম-ঠিকানা যাচাই করা
০৮। মৃত্যুকালীন জবানবন্দি গ্রহণ করা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
০৯। বিধি মোতাবেক তল্লাশী করা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১০। আসামী গ্রেফতার ও কোর্টে প্রেরণ করা
১১। এএসপি (সার্কেল) এর মাধ্যমে রিমান্ডের আবেদন করা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১২। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের ব্যবস্থা করা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৩। তদন্তে প্রাপ্ত আলামত পরীক্ষাগারে প্রেরণ ও ধ্বংস/নিষ্পত্তির ব্যবস্থা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৪। আলামতের রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৫। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা
১৬। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের ব্যবস্থা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৭। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ও ডাক্তারী সনদ (এমসি) সংগ্রহ করা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৮। মোবাইল ফোনের কললিস্ট পর্যালোচনা করা
১৯। বিশেষজ্ঞের মতামত সংগ্রহ করা (প্রযোজ্য (ক্ষেত্রে)
২০। তদন্ত তদারকি প্রতিবেদন অনুসরণ করা
২১। সাক্ষ্যের স্মারকলিপি প্রেরণ করা
২২। পুলিশ রিপের্ট প্রদান (চার্জশীট/ফাইনাল রিপোর্ট)
২৩। মামলার ফলাফল বাদীকে অবহিত করা